Kingdom:
Animalia |
মলা মাছ
অন্যান্য নাম :
মলা, ময়া, মোয়া, মকা, মৌকা, মুদে, মোলঙ্গী,
মৌরালা,মলেন্দা ও মৌচি ।
বৈজ্ঞানিক নাম
Amblypharyngodon
mola
Cyprinidae
গোত্রের এক প্রকার ছোটো আকারের মিঠা পানির মাছ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার
নদ-নদী, খাল-বিলে এই মাছ পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এই মাছ খাল, বিল, নদী-নালা,
হাওড়-বাওড়-এর পাওয়া যায়।
এদের দেহ প্রায় ১০-১৫ সেমি লম্বা হয়। দেহ দুই পাস থেকে চ্যাপ্টা ও লম্বাটে। পার্শ্বরেখা অসম্পূর্ণ। পিঠ উত্তলাকার। এদের গড়পড়তা ওজন ৫ গ্রাম।
দেহ পাতলা এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাইক্লয়েড আঁশে ঢাকা। পিঠের দিকের রঙ কালচে। কানকো থেকে লেজ পর্যন্ত চওড়া রূপালী রঙের আঁশ ঢাকা। নিচের দিকের রঙ ফ্যাকাশে। এছাড়া পায়ু পাখনার রঙও কালচে। লেজ দ্বিধাবিভক্ত। মাথা চেপ্টা। চোখ দুটি বড় এবং দুই চোখের মাঝখান একটু উঁচু। উপরের ঠোট স্পষ্ট নয়।
এই মাছ ঝাঁক বেধে জলাশয়ের উপরে চলাচল করে। এই কারণে এরা পানির উপরের স্তরের প্লাঙ্কটন, প্রোটোজোয়া, জলজ কীটপতঙ্গ খায়।
এদের প্রজনন কাল এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। বৃষ্টির সময় এরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এই সময় স্ত্রী-পুরুষ মাছ জড়াজড়ি করে থাকতে দেখা যায়। স্ত্রী মলা ৩০-৫০টি ডিম থোকা আকারে পানিতে ছাড়ার পরপরই পুরুষ মাছ বীর্য ত্যাগ করে ডিমগুলোকে নিষিক্ত করে। একবারে একটি স্ত্রীমাছ প্রায় ৫০০ ডিম পাড়ে। এই ভাবে বৎসরে এরা প্রায় ৩-৪ বার ডিম পাড়ে। জন্মের প্রথম বছরেই প্রজননক্ষম হয়ে উঠে।
এই মাছে প্রচুর ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও লৌহ থাকে। ভিটামিন-এ থাকার জন্য এই মাছ ছোটোদের চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী বিবেচিত হয়।
সূত্র :